Planted 33,405 Trees....Mission to plant 1 Lac Trees
Thursday, March 30, 2017
যা ভাবছেন আসলে তা না
গাছ লাগানোর খরচ নিয়ে বলছিলাম, আপনারা হয়তো ভাবছেন এটা অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। আপনি যদি স্থানীয় নার্সারি থেকে গাছ কিনতে চান, তাহলে এটা আসলেই ব্যয় সাপেক্ষ। গাছ প্রতি খরচ পড়ে প্রায় ৩০-৫০ টাকা।
আমরা গাছ সংগ্রহ করি সরকারী বন বিভাগ থেকে যার দাম পড়ে মাত্র ৫ টাকা করে। আপনার বয়সের(আমাদের ফলোয়ারদের গড় বয়স ২৫-৩৫) সমান গাছ কিনতে খরচ হবে মাত্র ১২৫-১৭৫ টাকা। এর সাথে অবশ্য পরিবহন বাবদ ২/৩ টাকা খরচ যোগ হয়, তবু ও গাছ প্রতি খরচ ৭/৮ টাকার বেশী নয় কোনোভাবেই। আপনার বয়সের সমান গাছ কিনতে খরচ হবে মাত্র ১৭৫-২৫০ টাকা।
তাই আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা নিজে গাছ লাগান, অন্যকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করুন, প্রকৃতি ভালো রাখুন, আপনিও ভালো থাকবেন।
নিজের বয়সের সমান সংখ্যক গাছ লাগিয়ে আমাদের ক্ষুদ্র চেষ্টার সাথে আপনিও যুক্ত থাকুন, আপনার নিজের জায়গায় লাগান কিংবা আমাদের সাথে আপনার গাছ শেয়ার করুন, আমরা আপনার হয়ে গাছ লাগিয়ে দিবো বাংলাদেশের কোন এক জায়গায়।
আমরা গাছ সংগ্রহ করি সরকারী বন বিভাগ থেকে যার দাম পড়ে মাত্র ৫ টাকা করে। আপনার বয়সের(আমাদের ফলোয়ারদের গড় বয়স ২৫-৩৫) সমান গাছ কিনতে খরচ হবে মাত্র ১২৫-১৭৫ টাকা। এর সাথে অবশ্য পরিবহন বাবদ ২/৩ টাকা খরচ যোগ হয়, তবু ও গাছ প্রতি খরচ ৭/৮ টাকার বেশী নয় কোনোভাবেই। আপনার বয়সের সমান গাছ কিনতে খরচ হবে মাত্র ১৭৫-২৫০ টাকা।
তাই আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা নিজে গাছ লাগান, অন্যকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করুন, প্রকৃতি ভালো রাখুন, আপনিও ভালো থাকবেন।
নিজের বয়সের সমান সংখ্যক গাছ লাগিয়ে আমাদের ক্ষুদ্র চেষ্টার সাথে আপনিও যুক্ত থাকুন, আপনার নিজের জায়গায় লাগান কিংবা আমাদের সাথে আপনার গাছ শেয়ার করুন, আমরা আপনার হয়ে গাছ লাগিয়ে দিবো বাংলাদেশের কোন এক জায়গায়।
Wednesday, March 29, 2017
Story of Humming Bird
One day a terrible fire broke out in a forest - a huge woodlands was suddenly engulfed by a raging
wild fire. Frightened, all the animals fled their homes and ran out of the forest. As they came to the
edge of a stream they stopped to watch the fire and they were feeling very discouraged and
powerless. They were all bemoaning the destruction of their homes. Every one of them thought
there was nothing they could do about the fire, except for one little hummingbird.
This particular hummingbird decided it would do something. It swooped into the stream and picked
up a few drops of water and went into the forest and put them on the fire. Then it went back to the
stream and did it again, and it kept going back, again and again and again. All the other animals
watched in disbelief; some tried to discourage the hummingbird with comments like, "Don't bother,
it is too much, you are too little, your wings will burn, your beak is too tiny, it’s only a drop, you
can't put out this fire."
And as the animals stood around disparaging the little bird’s efforts, the bird noticed how hopeless
and forlorn they looked. Then one of the animals shouted out and challenged the hummingbird in a
mocking voice, "What do you think you are doing?" And the hummingbird, without wasting time or
losing a beat, looked back and said, "I am doing what I can."
ওয়াঙ্গারি মাথাই এই ক্ষুদ্র গল্প অনেকবার শুনিয়েছেন। বন পরিষ্কার
করার জন্য আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলে সব বন্যপ্রাণী পালাতে শুরু করল। কিন্তু হামিংবার্ড
তাদের সঙ্গে যেতে রাজি হলো না। বরং সিদ্ধান্ত নিল নদী থেকে পানি এনে আগুন নেভাবে।
হামিংবার্ড ছোট্ট ঠোঁটে একবিন্দু করে পানি এনে আগুনের ওপর ঢালতে থাকে। কিন্তু আগুন
দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।
হামিংবার্ডের
এই কাজ দেখে অন্য জন্তু-জানোয়ারগুলো অবাক! সবাই জানে সবচাইতে ছোট্ট পাখি এই
হামিংবার্ড, তাই ওকে তাচ্ছিল্যভরে একজন জিজ্ঞেস করলো — “তুমি এটা কী করছো হামিং?”। ছোট পাখিটি উত্তর দিলো, “আমার সামর্থ্যে
যতটুকু সম্ভব, আমি ততটুকুই করছি”।
তবুও তো হামিংবার্ড তার সাধ্যমতো করেছে। যদি সবাই
সাধ্যমতো এতটুকু করে করত তাহলে বোঝা যেত পরিবর্তনটা কত বড়।Monday, March 27, 2017
বৃক্ষমানব: কার্তিক পরামানিক
১০ বছর বয়স থেকে গাছ লাগানো শুরু করেন।
জীবনভর গাছ লাগাচ্ছেন এবং অন্যদের গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করছেন। তাঁর
বসতভূমির ধু-ধু বালুচরে এখন সবুজের সমারোহ। চিরসবুজ সেই মানুষটি বলেছেন
তাঁর জীবনকথা:
আগে বাড়ি ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের রাধাকান্তপুর গ্রামে। আত্মীয়স্বজন গ্রাম থেকে ভারত পাড়ি দিলে আমরা একা হয়ে পড়ি। বাবা তখন আমাদের নিয়ে আসেন মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে। এটা পাকিস্তান হওয়ার দুই-তিন বছর পরের কথা। আমার বয়স তখন মাত্র নয় বছর।
কিন্তু নতুন জায়গায় এসে কিছুই ভালো লাগে না। চারদিকে ধু ধু বালুচর। নেই গাছপালা। ঝড়-বাতাসে চোখে-মুখে ধুলা-বালুতে ভরে যায়। বাজার-হাট করতে মনাকষা যেতে হয়। ১২-১৩ কিলোমিটার রাস্তা। পায়ে জুতা-স্যান্ডেল নেই, মাথায় নেই ছাতা। রাস্তার গরম ধুলায় পায়ে ফোসকা পড়ার মতো অবস্থা। মাথার গামছা পায়ে দিয়ে একটু আরাম পাওয়ার চেষ্টা করি। বাবাকে কেঁদে কেঁদে বলি, ‘বাবা, কোন দেশে নিয়ে এলে। চলো, অন্য জায়গায় চলে যাই।’ বাবা সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘দুঃখ করিস না বাবা, দেখবি কেউ একজন ঠিক দাঁড়িয়ে যাবে। গাছ লাগাবে, ওর দেখাদেখি তখন আরও কেউ গাছ লাগাবে। দেশ গাছে গাছে ভরে যাবে। গাছ লাগানো অনেক পুণ্যের কাজ। কী হবে গয়া-কাশি গিয়ে? তার থেকে বেশি পুণ্য হবে গাছ লাগালে।’ বাবার এ কথা আমার কচি মনে গেঁথে যায়। মনে মনে বলি, আমিই দাঁড়াব গাছ লাগানোর জন্য।
একদিন মা আমাকে নিয়ে কাকার বাড়ি বেড়াতে যান। গিয়ে দেখি, এক পাকুড়গাছের তলায় বীজ পড়ে চারা গজিয়েছে। সেখান থেকে চারা নিয়ে আসি। লাগাই শ্যামপুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে। তখন আমার বয়স ১০ বছর। সেই আমার গাছ লাগানো শুরু। ওই চারাগাছই এখন এলাকার বড় গাছের একটি। গাছের বয়স ৬২ বছর। অনেক কষ্ট করে গাছটিকে যত্ন করি, রক্ষা করি ঝড়-বৃষ্টি থেকে। যেন ছোট গাছটা ভেঙে না পড়ে। এ জন্য কখনো-সখনো ভিজতে ভিজতে গাছটি ধরে দাঁড়িয়ে থেকেছি।
গাছটি কিছুটা বড় হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় প্রতিবছর আমার গাছ লাগানো। গ্রামের রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, ঈদগাহ-গোরস্থান, বিডিআর (বতর্মানে বিজিবি) সীমান্ত ফাঁড়ি কোনো স্থানই বাদ যায়নি। হাট-বাজারে নাপিতের কাজ করি। সেই উপার্জনের টাকা দিয়ে গড়ে তুলি নার্সারি। গাছে ঠেকা দেওয়ার জন্য কিনি বাঁশ। গাছ লাগানোর সময় মজুর লাগাই। মানুষজন আমাকে পাগল বলে। ঠাট্টা-মশকরা করে বলে, গরিবের ঘোড়ারোগ ধরেছে। আরও বলে, বছর বছর গাঁটের পয়সা খরচ করে গাছ লাগিয়ে তোমার কী লাভ? মনে মনে বলি, ইহকালে লাভ না হোক পরকালে তো হবে। মানুষ যদি দোয়া না করে তো কি। পাখ-পাখালি তো করবে। তারা বট-পাকুড়-জামগাছে বসবে। ফল খাবে। তাদের জন্যও তো গাছ দরকার। বছর বছর গাছ লাগাতে লাগাতে এলাকার ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাছে গাছে ভরে যায়। আমরা দেখি লোকে এখন বাড়ির ফাঁকা জায়গায়ও গাছ লাগায়। অনেক দিন আগে থেকেই এলাকা সবুজে ভরে গেছে। একদিন এখানে যে ধু ধু বালুর চর ছিল, তা বোঝাই যায় না।
গাছ লাগানো শুরুর ৫৩ বছর পর প্রথম আলো আমাকে আবিষ্কার করে। ২০০৩ সালের ২ নভেম্বর আমাকে নিয়ে খবর প্রকাশ করে। প্রথম পাতায় খবরের শিরোনাম ছিল, ‘বিরাট বিরাট বৃক্ষ যেন একেকটি কার্তিকনামা’। খবর প্রকাশের পর আমাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বন্ধুসভা প্রথম সংবর্ধনা দেয়।
ওই বছরের ৪ কি ৫ ডিসেম্বর তত্কালীন বিডিআরের ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান পিএসসি আমার গাছ লাগানোর ইতিহাস শুনে তিনি আমাকে মনাকষা বিওপিতে ডেকে পুরস্কার প্রদান করেন। সেই খবর পেপার-পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ার পর আমার কথা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। আর আমাকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়। তার পর থেকেই আমি হয়ে গেছি ‘বৃক্ষপ্রেমিক কার্তিক পরামানিক’। বর্তমানে আমি অনেক পুরস্কার লাভ করেছি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, প্রথম আলো বন্ধুসভা পুরস্কার (২০০৩), রাজশাহী সিটি করপোরেশন পুরস্কার (২০০৩), বনবিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বৃক্ষমেলা পদক (২০০৭), বৃক্ষরোপণে প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় পুরস্কার (২০০৬), গণস্বাস্থ্য পদক (২০০৭), চার্চ অব বাংলাদেশ সোসাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম রজতজয়ন্তী পুরস্কার (২০০৭), চ্যানেল আই কৃষি পদক (২০০৭), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিক্ষক সমিতির পুরস্কার (২০১২), মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননা পদক (২০১৩) এবং স্টান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক পদক (২০১৪)। এ ছাড়া ২০১৩ সালে অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে আমাকে পাঠ্য তালিকায় নিয়ে আসা হয়েছে। এটিও আমার কাছে বড় পাওয়া।(২০১৩ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে ‘আ ম্যান হু লাভস ট্রি’ শিরোনামে তাঁর কীর্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।) আজ একটি কথা মনে পড়ছে, তা হলো ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইকবাল আমার চাওয়া পাওয়া কি জানতে চাইলে, আমি বলি ব্যক্তিগতভাবে আমার চাওয়ার কিছু নেই। তবে এলাকার মানুষের বড় অভাব হচ্ছে রাস্তার। সেসময় তিনি আমাকে ৮ কি. মিটার রাস্তা ও দুটি সাঁকো নির্মাণের আশ্বাস দেন। ওই সময় আমার চোখে জল চলে আসে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী রাস্তা ও সাঁকো পেয়েছে। আজ আর পায়ে হেঁটে মনাকষা বা শিবগঞ্জ আসতে হয় না।
২০১০ সালের মধ্যেই আমার গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করে দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। রাস্তাটা পাকা হওয়ায় এলাকার লোকজন আমাকে খুব সম্মান করেন। কাছে ডেকে কৃতজ্ঞতা জানান। প্রশাসনের লোকজনও আমাকে সম্মান করেন। আমার কথা রাখেন। এলাকার লোকজন কোনো সমস্যায় পড়লে আমার কাছে ছুটে আসেন। আমি স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। মানুষের উপকার করতে পেরে আনন্দ পাই।
আগে মনে হতো, গাছ লাগানোর ফল পরকালেই পাব। কিন্তু প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর আমার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তার ফল এ জীবনেই পেতে শুরু করি। প্রথম আলোর ১০ বছর পূর্তিতে আমার ছবিসহ বড় বড় সাইনবোর্ড ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে লাগায় তারা। ঢাকায় কর্মরত এলাকার লোকজন এসে আমাকে জানান সে কথা। আমি নিজে গিয়ে দেখে আসি। আনন্দে-গর্বে আমার বুক ভরে যায়। এ জীবনে এত সম্মান আর এত ভালোবাসা পাব কখনো ভাবিনি। যদিও সম্মান বা কোনো কিছু পাওয়ার আশায় গাছ লাগাইনি। পথক্লান্ত পথিক, পাখপাখালিকে একটু শান্তি দিতে ও এলাকার ধু ধু পরিবেশ দূর করতেই গাছ লাগিয়েছি। এই শরীর যত দিন চলবে, গাছ লাগানোও তত দিন চলবে।
সবার কাছে আমার আবেদন, বেশি বেশি গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান। না হলে আমরা ভালোভাবে বাঁচতে পারব না। পাখপাখালিও বাঁচতে পারবে না। এ ছাড়া, গাছই তো জীবন।
Source:
আগে বাড়ি ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের রাধাকান্তপুর গ্রামে। আত্মীয়স্বজন গ্রাম থেকে ভারত পাড়ি দিলে আমরা একা হয়ে পড়ি। বাবা তখন আমাদের নিয়ে আসেন মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে। এটা পাকিস্তান হওয়ার দুই-তিন বছর পরের কথা। আমার বয়স তখন মাত্র নয় বছর।
কিন্তু নতুন জায়গায় এসে কিছুই ভালো লাগে না। চারদিকে ধু ধু বালুচর। নেই গাছপালা। ঝড়-বাতাসে চোখে-মুখে ধুলা-বালুতে ভরে যায়। বাজার-হাট করতে মনাকষা যেতে হয়। ১২-১৩ কিলোমিটার রাস্তা। পায়ে জুতা-স্যান্ডেল নেই, মাথায় নেই ছাতা। রাস্তার গরম ধুলায় পায়ে ফোসকা পড়ার মতো অবস্থা। মাথার গামছা পায়ে দিয়ে একটু আরাম পাওয়ার চেষ্টা করি। বাবাকে কেঁদে কেঁদে বলি, ‘বাবা, কোন দেশে নিয়ে এলে। চলো, অন্য জায়গায় চলে যাই।’ বাবা সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘দুঃখ করিস না বাবা, দেখবি কেউ একজন ঠিক দাঁড়িয়ে যাবে। গাছ লাগাবে, ওর দেখাদেখি তখন আরও কেউ গাছ লাগাবে। দেশ গাছে গাছে ভরে যাবে। গাছ লাগানো অনেক পুণ্যের কাজ। কী হবে গয়া-কাশি গিয়ে? তার থেকে বেশি পুণ্য হবে গাছ লাগালে।’ বাবার এ কথা আমার কচি মনে গেঁথে যায়। মনে মনে বলি, আমিই দাঁড়াব গাছ লাগানোর জন্য।
একদিন মা আমাকে নিয়ে কাকার বাড়ি বেড়াতে যান। গিয়ে দেখি, এক পাকুড়গাছের তলায় বীজ পড়ে চারা গজিয়েছে। সেখান থেকে চারা নিয়ে আসি। লাগাই শ্যামপুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে। তখন আমার বয়স ১০ বছর। সেই আমার গাছ লাগানো শুরু। ওই চারাগাছই এখন এলাকার বড় গাছের একটি। গাছের বয়স ৬২ বছর। অনেক কষ্ট করে গাছটিকে যত্ন করি, রক্ষা করি ঝড়-বৃষ্টি থেকে। যেন ছোট গাছটা ভেঙে না পড়ে। এ জন্য কখনো-সখনো ভিজতে ভিজতে গাছটি ধরে দাঁড়িয়ে থেকেছি।
গাছটি কিছুটা বড় হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় প্রতিবছর আমার গাছ লাগানো। গ্রামের রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, ঈদগাহ-গোরস্থান, বিডিআর (বতর্মানে বিজিবি) সীমান্ত ফাঁড়ি কোনো স্থানই বাদ যায়নি। হাট-বাজারে নাপিতের কাজ করি। সেই উপার্জনের টাকা দিয়ে গড়ে তুলি নার্সারি। গাছে ঠেকা দেওয়ার জন্য কিনি বাঁশ। গাছ লাগানোর সময় মজুর লাগাই। মানুষজন আমাকে পাগল বলে। ঠাট্টা-মশকরা করে বলে, গরিবের ঘোড়ারোগ ধরেছে। আরও বলে, বছর বছর গাঁটের পয়সা খরচ করে গাছ লাগিয়ে তোমার কী লাভ? মনে মনে বলি, ইহকালে লাভ না হোক পরকালে তো হবে। মানুষ যদি দোয়া না করে তো কি। পাখ-পাখালি তো করবে। তারা বট-পাকুড়-জামগাছে বসবে। ফল খাবে। তাদের জন্যও তো গাছ দরকার। বছর বছর গাছ লাগাতে লাগাতে এলাকার ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাছে গাছে ভরে যায়। আমরা দেখি লোকে এখন বাড়ির ফাঁকা জায়গায়ও গাছ লাগায়। অনেক দিন আগে থেকেই এলাকা সবুজে ভরে গেছে। একদিন এখানে যে ধু ধু বালুর চর ছিল, তা বোঝাই যায় না।
গাছ লাগানো শুরুর ৫৩ বছর পর প্রথম আলো আমাকে আবিষ্কার করে। ২০০৩ সালের ২ নভেম্বর আমাকে নিয়ে খবর প্রকাশ করে। প্রথম পাতায় খবরের শিরোনাম ছিল, ‘বিরাট বিরাট বৃক্ষ যেন একেকটি কার্তিকনামা’। খবর প্রকাশের পর আমাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বন্ধুসভা প্রথম সংবর্ধনা দেয়।
ওই বছরের ৪ কি ৫ ডিসেম্বর তত্কালীন বিডিআরের ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান পিএসসি আমার গাছ লাগানোর ইতিহাস শুনে তিনি আমাকে মনাকষা বিওপিতে ডেকে পুরস্কার প্রদান করেন। সেই খবর পেপার-পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ার পর আমার কথা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। আর আমাকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়। তার পর থেকেই আমি হয়ে গেছি ‘বৃক্ষপ্রেমিক কার্তিক পরামানিক’। বর্তমানে আমি অনেক পুরস্কার লাভ করেছি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, প্রথম আলো বন্ধুসভা পুরস্কার (২০০৩), রাজশাহী সিটি করপোরেশন পুরস্কার (২০০৩), বনবিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের বৃক্ষমেলা পদক (২০০৭), বৃক্ষরোপণে প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় পুরস্কার (২০০৬), গণস্বাস্থ্য পদক (২০০৭), চার্চ অব বাংলাদেশ সোসাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম রজতজয়ন্তী পুরস্কার (২০০৭), চ্যানেল আই কৃষি পদক (২০০৭), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিক্ষক সমিতির পুরস্কার (২০১২), মার্কেন্টাইল ব্যাংক সম্মাননা পদক (২০১৩) এবং স্টান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক পদক (২০১৪)। এ ছাড়া ২০১৩ সালে অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়ে আমাকে পাঠ্য তালিকায় নিয়ে আসা হয়েছে। এটিও আমার কাছে বড় পাওয়া।(২০১৩ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে ‘আ ম্যান হু লাভস ট্রি’ শিরোনামে তাঁর কীর্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।) আজ একটি কথা মনে পড়ছে, তা হলো ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইকবাল আমার চাওয়া পাওয়া কি জানতে চাইলে, আমি বলি ব্যক্তিগতভাবে আমার চাওয়ার কিছু নেই। তবে এলাকার মানুষের বড় অভাব হচ্ছে রাস্তার। সেসময় তিনি আমাকে ৮ কি. মিটার রাস্তা ও দুটি সাঁকো নির্মাণের আশ্বাস দেন। ওই সময় আমার চোখে জল চলে আসে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী রাস্তা ও সাঁকো পেয়েছে। আজ আর পায়ে হেঁটে মনাকষা বা শিবগঞ্জ আসতে হয় না।
২০১০ সালের মধ্যেই আমার গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করে দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। রাস্তাটা পাকা হওয়ায় এলাকার লোকজন আমাকে খুব সম্মান করেন। কাছে ডেকে কৃতজ্ঞতা জানান। প্রশাসনের লোকজনও আমাকে সম্মান করেন। আমার কথা রাখেন। এলাকার লোকজন কোনো সমস্যায় পড়লে আমার কাছে ছুটে আসেন। আমি স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। মানুষের উপকার করতে পেরে আনন্দ পাই।
আগে মনে হতো, গাছ লাগানোর ফল পরকালেই পাব। কিন্তু প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর আমার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তার ফল এ জীবনেই পেতে শুরু করি। প্রথম আলোর ১০ বছর পূর্তিতে আমার ছবিসহ বড় বড় সাইনবোর্ড ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে লাগায় তারা। ঢাকায় কর্মরত এলাকার লোকজন এসে আমাকে জানান সে কথা। আমি নিজে গিয়ে দেখে আসি। আনন্দে-গর্বে আমার বুক ভরে যায়। এ জীবনে এত সম্মান আর এত ভালোবাসা পাব কখনো ভাবিনি। যদিও সম্মান বা কোনো কিছু পাওয়ার আশায় গাছ লাগাইনি। পথক্লান্ত পথিক, পাখপাখালিকে একটু শান্তি দিতে ও এলাকার ধু ধু পরিবেশ দূর করতেই গাছ লাগিয়েছি। এই শরীর যত দিন চলবে, গাছ লাগানোও তত দিন চলবে।
সবার কাছে আমার আবেদন, বেশি বেশি গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান। না হলে আমরা ভালোভাবে বাঁচতে পারব না। পাখপাখালিও বাঁচতে পারবে না। এ ছাড়া, গাছই তো জীবন।
Source:
http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-23/news/308194
http://www.bd-pratidin.com/home/printnews/133114/2016-03-17
Sunday, March 26, 2017
Be a part of Tree for Mankind Team
Be a part of our Team |
1. To become a Member you have to plant at least the number of Trees of your Age in years.
2. To become an Active Member you have to plant at least 100 Trees
3. To become an Exclusive Member you have to plant at least the number of Trees of your Age in Months
4. To become a Super Active Member you have to plant at least 1000 Trees.
5. You have to count your Trees from 24th February 2017.
6. You can plant Trees at your own place or you can share your Trees with us.
List of our Team Members
Thursday, March 23, 2017
রুপসদি গ্রামে যাচ্ছি ২১০০গাছ নিয়ে
অল্প কয় দিনেই O2(Tree for Mankind) এর facebook Page এ ৭২ জন সদস্য হয়ে গেছি। আমরা মোট ৩০০ টি গাছের চারা লাগিয়েছি। অর্থাৎ
জনপ্রতি ৪টি গাছ লাগানো হয়েছে বলা যেতে পারে। আমরা চাই আপনিও বলুন আমরা ৩০০
টি গাছ লাগিয়েছি কিংবা বলুন আপনি ৪ টি গাছ লাগিয়েছেন। O2(Tree for Mankind) যা গাছ লাগাবে সবটাই আপনাদের অবদান হিসেবে গণনা করবে সবসময়। কারন আপনি হয়তো
নিজে গাছ লাগাচ্ছেন না, কিন্তু আপনি তো আমাদেরকে সাপোর্ট করছেন বলেই এই
প্রজেক্টের একজন সদস্য।
আমরাও চাইবো আপনারা নিজে নিজে যে গাছ লাগাবেন (ইনডোর প্ল্যান্ট হলেও) তা আমাদেরকে জানান , আমরাও সেটাকে গণনা করতে চাই যদি আপনার আপত্তি না থাকে :)
খুব শীঘ্রই(১লা এপ্রিল ২০১৭) আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপসদি গ্রামে যাচ্ছি কমপক্ষে ২১০০গাছ নিয়ে।
আমরাও চাইবো আপনারা নিজে নিজে যে গাছ লাগাবেন (ইনডোর প্ল্যান্ট হলেও) তা আমাদেরকে জানান , আমরাও সেটাকে গণনা করতে চাই যদি আপনার আপত্তি না থাকে :)
খুব শীঘ্রই(১লা এপ্রিল ২০১৭) আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপসদি গ্রামে যাচ্ছি কমপক্ষে ২১০০গাছ নিয়ে।
This is the "Jamidar Bari". It was established in 1912 A.D. This is the symbol of heritage in Bancharampur Upazilla. It situated at village Rupasdi. |
দশ লাখ তালগাছ দিয়ে বজ্রপাত ঠেকানোর পরিকল্পনা
বাংলাদেশে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু কমানোর জন্য দেশব্যাপী ১০ লাখ তালগাছ লাগানো হচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন,বজ্রপাত যেহেতু সাধারণত উঁচু কোন কিছুতে আঘাত করে, সেজন্য উঁচু গাছ হিসেবে তালগাছকেই তারা বেছে নিয়েছেন বজ্রপাত ঠেকানোর জন্য। তাদের ভাষায় বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকানোর জন্য এটাই সবচেয়ে কার্যকর স্থানীয় প্রযুক্তি।
এর পাশাপাশি হাওর অঞ্চলে টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনাও সরকার নিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এনিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
গত বছর বাংলাদেশে বজ্রপাতে প্রায় দুশো মানুষ মারা যায়। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হাওর অঞ্চলের নয়টি জেলায়।
বজ্রপাতে প্রচুর গবাদি পশুরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
হাওর জেলা সুনামগঞ্জের স্বরষতিপুর গ্রাম থেকে কৃষক এনামুল হক বলছিলেন,তাদের একটি মসজিদে সন্ধ্যায় নামাজের সময় বজ্রপাতে একসাথে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল ২০১১ সালে। সেই থেকে গ্রামটিতে বজ্রপাত নিয়ে আতংক তৈরি হয়েছে।
কিন্তু তাদের এলাকায় প্রতিবছর বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
বজ্রপাতে মানুষ এবং গবাদি পশুর মৃত্যুর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বজ্রপাতের প্রবণতাও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার প্রশ্নে সরকারের ওপরও তাগিদ বাড়ছিল।
এখন এসে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে। আর তাতে মুল পদক্ষেপ হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলায় তালগাছ লাগানো হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বলছিলেন,বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে উঁচু গাছ হিসেবে তালগাছকে বেছে নেয়া হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন,থাইল্যান্ডে তাল গাছ লাগিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞের পরামর্শও বাংলাদেশ নিয়েছে।
দেশের একজন বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আসাদুল হক মনে করেন, বজ্রপাত যেহেতু উঁচু জায়গায় আঘাত করে, সে হিসেবে তাল গাছ মৃত্যু কমাতে সহায়ক হবে।
কিন্তু বজ্রপাতের আঘাত পাওয়া গাছটি নষ্ট হয়ে যাবে। সেখানে হাওর এলাকায় টাওয়ার নির্মাণ করা হলে স্থায়ী ব্যবস্থা হতো বলে তিনি মনে করেন।
সচিব শাহ কামাল অবশ্য জানিয়েছেন, ভিয়েতনামে টাওয়ার দিয়ে মৃত্যুর হার কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ হাওর এলাকায় তালগাছের পাশাপাশি টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ভিয়েতনামের বিশেষজ্ঞদের আলোচনা করা হচ্ছে।
Source
সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন,বজ্রপাত যেহেতু সাধারণত উঁচু কোন কিছুতে আঘাত করে, সেজন্য উঁচু গাছ হিসেবে তালগাছকেই তারা বেছে নিয়েছেন বজ্রপাত ঠেকানোর জন্য। তাদের ভাষায় বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকানোর জন্য এটাই সবচেয়ে কার্যকর স্থানীয় প্রযুক্তি।
গত কয়েক বছর ধরে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এনিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
গত বছর বাংলাদেশে বজ্রপাতে প্রায় দুশো মানুষ মারা যায়। বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হাওর অঞ্চলের নয়টি জেলায়।
বজ্রপাতে প্রচুর গবাদি পশুরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
হাওর জেলা সুনামগঞ্জের স্বরষতিপুর গ্রাম থেকে কৃষক এনামুল হক বলছিলেন,তাদের একটি মসজিদে সন্ধ্যায় নামাজের সময় বজ্রপাতে একসাথে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল ২০১১ সালে। সেই থেকে গ্রামটিতে বজ্রপাত নিয়ে আতংক তৈরি হয়েছে।
কিন্তু তাদের এলাকায় প্রতিবছর বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
বজ্রপাতে মানুষ এবং গবাদি পশুর মৃত্যুর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বজ্রপাতের প্রবণতাও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার প্রশ্নে সরকারের ওপরও তাগিদ বাড়ছিল।
এখন এসে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে। আর তাতে মুল পদক্ষেপ হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলায় তালগাছ লাগানো হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বলছিলেন,বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে উঁচু গাছ হিসেবে তালগাছকে বেছে নেয়া হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন,থাইল্যান্ডে তাল গাছ লাগিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞের পরামর্শও বাংলাদেশ নিয়েছে।
দেশের একজন বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আসাদুল হক মনে করেন, বজ্রপাত যেহেতু উঁচু জায়গায় আঘাত করে, সে হিসেবে তাল গাছ মৃত্যু কমাতে সহায়ক হবে।
কিন্তু বজ্রপাতের আঘাত পাওয়া গাছটি নষ্ট হয়ে যাবে। সেখানে হাওর এলাকায় টাওয়ার নির্মাণ করা হলে স্থায়ী ব্যবস্থা হতো বলে তিনি মনে করেন।
সচিব শাহ কামাল অবশ্য জানিয়েছেন, ভিয়েতনামে টাওয়ার দিয়ে মৃত্যুর হার কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ হাওর এলাকায় তালগাছের পাশাপাশি টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ভিয়েতনামের বিশেষজ্ঞদের আলোচনা করা হচ্ছে।
Source
পানির অপচয় রোধ করুন
স্পঞ্জ যেভাবে পানি ধরে রাখে গাছও সেভাবে মাটির ভিতরের পানিকে ধরে রাখতে
সাহায্য করে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বৃক্ষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একটি
পূর্ণ বয়স্ক আম বা কাঁঠাল গাছ গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে ১০০ গ্যালনের মতো
পানি প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাতাসে ছেড়ে দেয়। এর ফলে চারপাশের
তাপমাত্রা কমে আসে যা এয়ারকুলারে ৪-৫টি ঘরের শীতলকরণের সমান।
Wednesday, March 22, 2017
আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম
আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই দেশের বিভিন্ন স্থানে গাছ লাগানো শুরু করবো।
আমাদের সম্ভাব্য পরবর্তী জেলা গুলো হচ্ছে ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বগুড়া
গোপালগঞ্জ
মাদারীপুর
কিশোরগঞ্জ
মানিকগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ
ময়মনসিংহ
শরীয়তপুর
লক্ষ্মীপুর
তারিখ ঠিক হবার পর আপনাদের নির্দিষ্ট স্থানের ঠিকানা জানিয়ে দিবো , আমাদের ফেসবুক পেজে ও আপনি সবসময় আপডেট পাবেন।
আপনারা জানেন আমাদের প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল নরসিংদী জেলায়
আমাদের সম্ভাব্য পরবর্তী জেলা গুলো হচ্ছে ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বগুড়া
গোপালগঞ্জ
মাদারীপুর
কিশোরগঞ্জ
মানিকগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ
ময়মনসিংহ
শরীয়তপুর
লক্ষ্মীপুর
তারিখ ঠিক হবার পর আপনাদের নির্দিষ্ট স্থানের ঠিকানা জানিয়ে দিবো , আমাদের ফেসবুক পেজে ও আপনি সবসময় আপডেট পাবেন।
আপনারা জানেন আমাদের প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল নরসিংদী জেলায়
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের জন্মস্থানে
Tuesday, March 21, 2017
Plant More Trees ! Save Wild Life !
The true meaning of life is to plant trees, under whose shade you do not expect to sit.
We are Passionate About Planting Trees anywhere in Bangladesh. Just Help us to find out a School to distribute Trees...
Find us on : facebook.com\treeformankindContact us : treeformankind@gmail.com
Subscribe to:
Posts (Atom)