Planted 31,355 Trees....Mission to plant 1 Lac Trees

Wednesday, May 3, 2023

বিজ্ঞাপনটার কথা কি আপনাদের মনে আছে ?

কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা এবং খ্যাতিমান অভিনেতা আবুল খায়ের অভিনীত একটা বিজ্ঞাপন শৈশবে বিটিভিতে প্রায়ই দেখতাম। যতদূর মনে পড়ে, কবিরাজ আবুল খায়ের গ্রামের একটি জায়গায় লোকজন জড়ো করে বলতে থাকেন-

আল্লাহর দান এই গাছ। যারা চিনতে পারে, তারা নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে পারে, আর যারা চিনতে পারে না তাদের জন্য আছি আমি। আমি কবিরাজ। গাছ নিয়ে আমি প্রশ্ন করি, আপনারা উত্তর দেন।

কবিরাজ গাছ আমাদের কি কামে লাগে?

জনতা গাছ আমাগো অনেক কামে লাগে।

কবিরাজ –“যেমন?

জনতা –“গাছ আমাদের নানা রকম ফল দেয়।

কবিরাজ আর?

জনতা গাছ আমাদের ছায়া দেয়।

কবিরাজ আর?

জনতা লাকড়ি দেয়, চুলা জ্বালাই।

কবিরাজ আর?

জনতা কাঠ দিয়া খাট পালঙ্ক বানাই।

কবিরাজ হের লাইগা-বেবাক গাছ কাইটা ফালাইতাসে। কিন্তু আসল কথাটা কেউ কইলেন না। দমের কথা ! প্রতিটা নিঃশ্বাসের লগে আমরা যে অক্সিজেন নেই, সেটা কে দেয়?

ভাইসব একেকটা গাছ একেকটা অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি। আর দেয় ওষুধ যা আমি আপনাগো পৌঁছাইয়া দেই। সব গাছ কাইটা ফালাইতাসে। আমি ঔষধ বানামু কি দিয়া?

বৃক্ষ মালিক কি গো কবিরাজ, কি খোঁজতাসেন?

কবিরাজ আইচ্চা, এইখানে একটা অর্জুন গাছ আছিলো না?

বৃক্ষ মালিক আছিলো, কাইট্টা ফালাইছি।

কবিরাজ এইখানে একটা শিশু গাছ আর ঐ মাথায় একটা হরতকী গাছ।

বৃক্ষ মালিক আছিলো , কাইট্টা ফালাইছি।

কবিরাজ আপনের গাছ?

বৃক্ষ মালিক হ । টেকার দরকার পড়ছে তাই বিক্রি করছি।

কবিরাজ গাছ লাগাইছিলো কে?

বৃক্ষ মালিক আমার বাবায়।

কবিরাজ আপনি কী লাগাইছেন ?

বৃক্ষ মালিক আমি কী লাগাইছি?

কবিরাজ হ, ভবিষ্যতে আপনার পোলারও টেকার দরকার হইতে পারে।

কবিরাজ আবারো সবাইকে জড়ো করে বলতে শুরু করেন

আমি আর আপনাগোর কবিরাজ নাই। আপনারা চাইলেও আমি আর ওষুধ দিতে পারুম না।

প্রশ্ন করতে পারেন কেন? উত্তর একটাই। সাপ্লাই শেষ। গাছ নাই তো আমার ওষুধও নাই। লাকড়ি বানায়া চুলায় দিছি, খাট পালঙ্ক বানায়া শুইয়া রইছি, টেকার দরকার পড়ছে গাছ কাটছি। যা কাইটা ফালাইসি তা কি পূরণ করছি? বাপ দাদার লাগানো গাছ কাটছি। নিজেগো সন্তানের জন্য কী রাখছি?

অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি ধীরে ধীরে শেষ হইতাসে। চোখ ভইরা সবুজ দেখি না। ভবিষ্যতে কেমনে দম লইবেন?

জনতা- আহো, মিয়া ভাই তোমারে নিয়া একটা চারা গাছ লাগাই আর মনে মনে কই সবুজ দুনিয়া দেখতে চাই, বুক ভইরা দম নিতে চাই। আর আমাদের সন্তানেরা, তোমাগোর লাইগ্যা টাকার গাছ লাগাইলাম। অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি বানাইলাম।


 

আবুল খায়েরের শেষ কথাটি ছিল: "এক একটা গাছ, এক একটা অক্সিজেনের ফ্যাক্টরী।" জনস্বার্থে বিজ্ঞাপনটি আবারো প্রচার করা হোক।

 

Courtesy: হুমায়ূনের ভুবন

 

Thursday, July 21, 2022

আরও ৩০০ টি গাছ

 


 

 

 

 

 

 

 

 



গত ১৭ই জুন থেকে ১৯শে জুন, বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার চমরগাছা ও দড়িহাঁসরাজ গ্রামে এবং

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাইগুনি ও হিয়াতপুর গ্রামে ৩০০টি গাছ লাগানো হয়। 

২০২২ সালের গাছ উৎসবে এখন পর্যন্ত ১৯০৫ টি গাছ লাগানো হয়েছে কুড়িগ্রাম, বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন স্থানে। 


Wednesday, June 22, 2022

গাছ থাকতে গাছের উপকারিতা

আমরা কেন গাছ রক্ষা করব? গাছ রক্ষা করব নিজেদের জন্যে। গাছ আমাদের অক্সিজেন জোগায়, এটা সাধারণভাবে সবাই জানি। কিন্তু যেটা খুব বেশি লোক জানে না, সেটা হলো একটি পূর্ণবয়স্ক গাছ এক বছরে যে অক্সিজেন সরবরাহ করে, ওই অক্সিজেন ১০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের এক বছরের প্রয়োজন মেটায়। 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর তারকমোহন দাস ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে একটি গাছের অবদানকে অর্থমূল্যে পরিবর্তন করে দেখান, ৫০ বছর বয়সী একটি গাছের অর্থনৈতিক মূল্য এক লাখ ৮৮ হাজার ডলার। এই গাছ থেকে বছরে ২১ লাখ টাকার অক্সিজেন পায় মানুষ। বছরে প্রাণিসম্পদের জন্য প্রোটিন জোগায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকার, মাটির ক্ষয়রোধ ও উর্বরতা বাড়ায় ২১ লাখ টাকার, পানি পরিশোধন ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে ২১ লাখ টাকার এবং বায়ুদূষণ রোধ করে প্রায় ৪২ লাখ টাকার।

গাছকাটা বা বৃক্ষনিধন নিয়ে আমাদের দেশে অনেক কথাবার্তা হয়। কিন্তু কাজ তেমন কিছু হয় না। ঢাকা শহরে উন্নয়নের নামে অহরহ গাছকাটা চলে, কিন্তু গাছ লাগানো হচ্ছে, এমনটা দেখা যায় না। মেট্রোরেল বানিয়ে নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সড়ক বিভাজিকায় রোপন করা গাছ কেটে পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু শহরের কোথাও কি চলছে গাছ রোপনের উদ্যোগ? আসলে আমাদের দেশে প্রচুর গাছ তো, তাই দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা না বোঝার মতো গাছ থাকতে গাছের উপকারিতা বুঝতে পারছি না আমরা। হতো সৌদি আরবের মতো মরুভূমির দেশ, তাহলে হয়তো বুঝতাম।

সৌদিরা সেটা বুঝেছে হয়তো। শুধু তেল বেচে যে বেশিদিন ভাত জুটবে না নিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বপরিস্থিতিতে, তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। তাই বিকল্প সম্পদ বাড়ানোর তোড় জোড় শুরু করেছে। তাছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে অক্সিজেনের সরবরাহ না বাড়লে যে দমবন্ধ হয়ে মারা যেতে হবে, সেটাও রয়েছে তাদের মাথায়। তাই দেশটিতে গাছ কাটার বিরুদ্ধে কঠোর সাজার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউশনের এক টুইটে বলা হয়, গাছ, গুল্ম বা গাছের ছালবাকল তুলে ফেলা বা পাতা ছেঁড়া, চারাগাছ মাটি থেকে উপড়ে ফেলা এবং গাছের গোড়া থেকে মাটি সরিয়ে নেয়াসহ এ ধরনের কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। অপরাধীকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ কোটি রিয়াল জরিমানা করা হবে। দ্য আরব নিউজে এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নের একটি পদক্ষেপ। দেশটি আগামী এক দশকের মধ্যে পরিবেশের ভারসাম্যে একটা স্থিতাবস্থা আনতে চায়।

গাছ কাটলে শাস্তির বিধান যে আমাদের দেশেও নেই, তা নয়। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে এই বিষয়ক একটি বিল সংসদে পাঠানো হয়েছিল। বিলটিতে প্রস্তাব করা হয়েছিল, সরকারের অনুমতি ছাড়া বন, সড়কের পাশের ও পাবলিক প্লেসের গাছ কাটলে সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। তবে সেটার ফল কী হয়েছে, তা কখনোই স্পষ্ট হয়নি। অন্তত এখনো যে হারে গাছকাটা চলে, মনে হয় না তাতে কোনো কাজ হয়েছে। ওই বিলটিতে নানা শর্ত টর্তও ছিল। ওসব শর্তের ফাঁক ফোকরে গাছকাটার অনেক সুযোগও রয়েছে।

এভাবে আইন করে গাছকাটা বন্ধ করা খুব সহজ ব্যাপার নয়। গাছের প্রতি মানুষের মমতা সৃষ্টির কাজটা করতে হবে সবার আগে। দুই একটা কর্মসূচি পালন করে সে মমতা তৈরি করা সম্ভব নয়। এ জন্য চাই নিবিড় সামাজিক আন্দোলন, মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও তা নিশ্চিত করা এবং তার সঙ্গে প্রশাসনিক নজরদারি তো চাই-ই।

মাসুদ আনোয়ার (সাংবাদিক, অনুবাদক এবং কলামনিস্ট)

Sunday, June 5, 2022

আজ ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ২০২২ সালের তৃতীয় গাছ উৎসব পালন করতে যাচ্ছি গাইবান্ধা ও বগুড়া জেলার গোবিন্দগঞ্জ ও সোনাতলায়। আমরা এই উৎসবে ৮৫০ টি গাছ লাগিয়ে গাছ উৎসব পালন করবো। 

আমাদের এই বারের গাছ উৎসবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন রাশেদুজ্জামান রণ ভাই, সাথে রয়েছেন কয়েকজন গাছপ্রেমী স্বেচ্ছাসেবক। 

আপনিও অংশ নিন আমাদের সাথে। 

সেই সাথে সকলের প্রতি একটি আহবান প্রত্যেকে নিজ নিজ বয়সের সমান গাছ লাগান, অথবা সম পরিমান গাছ আমাদের উপহার দিন, আপনার হয়ে Tree for Mankind এই গাছ তুলে দিবে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে। এভাবেই আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য সবুজ পৃথিবী গড়তে হবে আমাদেরকেই। 

তাই গাছ লাগান, গাছ ভালো রাখুন, আপনিও ভালো থাকুন।   

 
 













 

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির নেতৃত্বে ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ জুনকেবিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এবারকার ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’–এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘অনলি ওয়ান আর্থ’, যা বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘শুধু একটাই পৃথিবী’। 

এ বছর এর আয়োজক সুইডেন। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক স্টকহোম কনফারেন্স অন দ্য হিউম্যান এনভায়রনমেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর সেই সম্মেলনের স্লোগানও একই ছিল। 

১৯৭২ সালের স্টকহোম সম্মেলনের ৫০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এই সত্য বর্তমানেও একইভাবে প্রযোজ্য বিধায় আবারও নতুন করে স্মরণ করে দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ছে—এ গ্রহই আমাদের একমাত্র বাড়ি।