News Link is given below:
https://www.tbsnews.net/features/panorama/do-we-follow-after-we-plant-trees-898946
Let's Plant Number of Trees of Our Age
We are Glad to inform you that Samir Kumar Das became our Super Active Member.
He was our Exclusive Member from the starting of Treeformankind with 625 Trees.
On 31st August he gifted us another 375 Trees for our next Tree Festival in Bogra.
So, his total gifted trees number is now 1000 hence he became our new Super Active Member.
We are Happy to inform you that Md. Mijanur Rahman joined Tree for Mankind as an Active member.
He gifted us 100 Trees for next Tree Festival.
স্নাতক পাস করতে হলে মোট ১০টি গাছ লাগাতে হবে একজন শিক্ষার্থীকে। অভিনব এই আইন প্রণয়ন করেছে ফিলিপাইন।
প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে সাত হাজারের বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি রাষ্ট্র ফিলিপাইন। মোট আয়তন ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬৪ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যাও প্রায় ১০ কোটি। ফিলিপাইনে বন উজাড় একটি প্রাথমিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বন উজাড়কারী দেশের তালিকার ওপরের দিকে আছে ফিলিপাইনের নাম। বিংশ শতাব্দীতে দেশটিতে মোট ভূমির ৭০ শতাংশ ছিল বন। সেই হার এখন নেমে এসেছে মাত্র ২০ শতাংশে। বিষয়টি ফিলিপাইন সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। ফলে নতুন এই আইনের ফলে দেশটিতে আবার বনাঞ্চল তৈরি হবে।
ফিলিপাইনে প্রতিবছর ১ কোটি ২০ লাখ শিক্ষার্থী প্রাথমিক, ৫০ লাখ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও ৫০ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে। আইনটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে প্রতিবছর ১৭ কোটি ৫০ লাখ গাছ লাগানো সম্ভব হবে। ফলে এই প্রজন্মের হাত ধরেই প্রায় ৫২ হাজার ৫০০ কোটি গাছ লাগানো সম্ভব।
২০১৯ সালের ১৫ মে ফিলিপাইনের কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে পাস করা হয় এ বিল। পরিবেশ রক্ষার কথা চিন্তা করে বিলটি পেশ করেছিলেন গ্যারি আলেজানো। বিলটির নাম ছিল ‘গ্র্যাজুয়েশন লিগ্যাসি ফর দ্য এনভায়রনমেন্ট অ্যাক্ট ২০১৬’। বিলে বলা হয়, মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমানের শিক্ষার্থীদের স্নাতক পাস করতে হলে প্রত্যেককে মোট ১০টি গাছ লাগাতে হবে। স্নাতক পাস করার আগে যেকোনো সময়ে শিক্ষার্থীরা গাছ লাগাতে পারবেন। তবে প্রমাণস্বরূপ গাছ লাগানোর দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী করে রাখতে হবে। আর সম্পূর্ণ বিষয়টি দেখভাল করবেন শিক্ষকেরা।
কোথায় কোথায় গাছ লাগাতে হবে, সে বিষয়েও বিলে বলা হয়েছে। গাছগুলো লাগাতে হবে বনে, সংরক্ষিত এলাকায়, শহুরে এলাকায়, পরিত্যক্ত খনিতে বা আদিবাসী অঞ্চলে। তবে গাছগুলো হতে হবে স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে মানানসই।
গ্যারি আলিজানো বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর বাস্তুসংস্থানের কথা মাথায় রেখেই এই আইনটি প্রণয়ন করেছি। বিষয়টি যখন শিক্ষার্থীদের, তখন এ বিষয়ে তাদের অবদান না রাখার কোনো কারণ নেই। এই গাছগুলো পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে শিক্ষার্থীদের জীবন্ত উত্তরাধিকার হয়ে উঠবে।’
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা এবং খ্যাতিমান অভিনেতা আবুল খায়ের অভিনীত একটা বিজ্ঞাপন শৈশবে বিটিভিতে প্রায়ই দেখতাম। যতদূর মনে পড়ে, কবিরাজ আবুল খায়ের গ্রামের একটি জায়গায় লোকজন জড়ো করে বলতে থাকেন-
“আল্লাহর দান এই গাছ। যারা চিনতে পারে, তারা নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে পারে, আর যারা চিনতে পারে না তাদের জন্য আছি আমি। আমি কবিরাজ। গাছ নিয়ে আমি প্রশ্ন করি, আপনারা উত্তর দেন।”
কবিরাজ – “গাছ আমাদের কি কামে লাগে?”
জনতা — “গাছ আমাগো অনেক কামে লাগে।”
কবিরাজ –“যেমন?”
জনতা –“গাছ আমাদের নানা রকম ফল দেয়।”
কবিরাজ — “আর?”
জনতা — “গাছ আমাদের ছায়া দেয়।”
কবিরাজ — “আর?’
জনতা — “লাকড়ি দেয়, চুলা জ্বালাই।”
কবিরাজ – “আর?”
জনতা — “কাঠ দিয়া খাট পালঙ্ক বানাই।”
কবিরাজ — “হের লাইগা-বেবাক গাছ কাইটা ফালাইতাসে। কিন্তু আসল কথাটা কেউ কইলেন না। দমের কথা ! প্রতিটা নিঃশ্বাসের লগে আমরা যে অক্সিজেন নেই, সেটা কে দেয়?”
“ভাইসব… একেকটা গাছ একেকটা অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি। আর দেয় ওষুধ যা আমি আপনাগো পৌঁছাইয়া দেই। সব গাছ কাইটা ফালাইতাসে। আমি ঔষধ বানামু কি দিয়া?”
বৃক্ষ মালিক — “কি গো কবিরাজ, কি খোঁজতাসেন?”
কবিরাজ — “আইচ্চা, এইখানে একটা অর্জুন গাছ আছিলো না?”
বৃক্ষ মালিক — “আছিলো, কাইট্টা ফালাইছি।”
কবিরাজ — “এইখানে একটা শিশু গাছ আর ঐ মাথায় একটা হরতকী গাছ।”
বৃক্ষ মালিক — “আছিলো , কাইট্টা ফালাইছি।”
কবিরাজ — “আপনের গাছ?”
বৃক্ষ মালিক — “হ । টেকার দরকার পড়ছে তাই বিক্রি করছি।”
কবিরাজ — “গাছ লাগাইছিলো কে?”
বৃক্ষ মালিক — “আমার বাবায়।”
কবিরাজ — “আপনি কী লাগাইছেন ?”
বৃক্ষ মালিক — “আমি কী লাগাইছি?”
কবিরাজ — “হ, ভবিষ্যতে আপনার পোলারও টেকার দরকার হইতে পারে।”
কবিরাজ আবারো সবাইকে জড়ো করে বলতে শুরু করেন —
“আমি আর আপনাগোর কবিরাজ নাই। আপনারা চাইলেও আমি আর ওষুধ দিতে পারুম না।
প্রশ্ন করতে পারেন কেন? উত্তর একটাই। সাপ্লাই শেষ। গাছ নাই তো আমার ওষুধও নাই। লাকড়ি বানায়া চুলায় দিছি, খাট পালঙ্ক বানায়া শুইয়া রইছি, টেকার দরকার পড়ছে গাছ কাটছি। যা কাইটা ফালাইসি তা কি পূরণ করছি? বাপ দাদার লাগানো গাছ কাটছি। নিজেগো সন্তানের জন্য কী রাখছি?
অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি ধীরে ধীরে শেষ হইতাসে। চোখ ভইরা সবুজ দেখি না। ভবিষ্যতে কেমনে দম লইবেন?”
জনতা- “আহো, মিয়া ভাই তোমারে নিয়া একটা চারা গাছ লাগাই আর মনে মনে কই সবুজ দুনিয়া দেখতে চাই, বুক ভইরা দম নিতে চাই। আর আমাদের সন্তানেরা, তোমাগোর লাইগ্যা টাকার গাছ লাগাইলাম। অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি বানাইলাম।“
আবুল খায়েরের শেষ কথাটি ছিল: "এক একটা গাছ, এক একটা অক্সিজেনের ফ্যাক্টরী।" জনস্বার্থে বিজ্ঞাপনটি আবারো প্রচার করা হোক।
Courtesy: হুমায়ূনের ভুবন