Planted 34,485 Trees....Mission to plant 1 Lac Trees

Tuesday, June 17, 2025

জীবনের জন্য গাছ


মানুষ পৃথিবীতে আসার আগেই বৃক্ষের সৃষ্টি হয়। আদিকাল থেকেই মানুষ ও প্রাণিকুল তাদের খাদ্য ও বাসস্থানের জন্য উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। আধুনিক সভ্যতা ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চাপ পড়েছে বৃক্ষের ওপর। বিলুপ্ত হচ্ছে উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল। এর প্রতিক্রিয়ায় দেখা দিচ্ছে অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, খরা, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। হুমকিতে পড়ছে আমাদের প্রতিবেশ, পরিবেশ ও মানবজাতি। বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষায় যে পরিমাণ বৃক্ষরাজি থাকা দরকার সে পরিমাণ না থাকায় বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রতিক্রিয়ায় পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, মরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। এতে সর্বাধিক হুমকিতে রয়েছে বাংলাদেশের মতো উপকূলবর্তী বদ্বীপগুলো।


পরিবেশ সুরক্ষায় প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের দেশে বৃক্ষরাজি অনেক কম। তাই সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যেমন পরিবেশ মেলা, বৃক্ষমেলা, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি, বসতবাড়ি বনায়ন কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, ফলদ-বনজ-ভেষজ বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম, ফলদ বৃক্ষমেলা প্রভৃতি। বৃক্ষরোপণ আন্দোলন বেগবান করতে বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ঢাকার শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রসংলগ্ন মাঠে প্রতি বছর চলে মাসব্যাপী বৃক্ষমেলা। মেলায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্টল থেকে সব ধরনের গাছের চারাই সংগ্রহ করা যায়। পাশাপাশি পাওয়া যায় নানা উপকরণ ও সেবা। এছাড়া দেশের সব জায়গায় নার্সারি থেকে গাছের চারা সংগ্রহ করা যায়। পানি দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে সারা বছর গাছ লাগানো যায়। তবে বর্ষাকালে গাছ লাগানো ভালো।


বর্ষাকাল গাছের চারা লাগানোর উৎকৃষ্ট সময়। সাধারণত উর্বর, নিষ্কাশনযোগ্য ও উঁচু স্থানে গাছের চারা রোপণ করা উত্তম। বসতবাড়ির দক্ষিণ পাশে রোদ ও আলোর জন্য ছোট এবং কম ঝোপালো গাছ যেমন সুপারি, নারকেল, নিম, সজনে, দেবদারু, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু, জাম্বুরা, ডালিম গাছ লাগানো যেতে পারে। তবে উত্তর পাশে বড় ও উঁচু গাছপালা থাকলে ঝড়-তুফান প্রতিরোধ হয়। তাই এখানে আম, কাঁঠাল, জাম, মেহগনি, সেগুন, বাঁশ ইত্যাদি গাছ রোপণ করা ভালো। আবার বসতবাড়ির পূর্ব ও পশ্চিম পাশে মাঝারি উঁচু গাছ, যেমন কুল, সফেদা, আম্রপালি, লিচু, খেজুর, তাল, আতা, বেল, পেয়ারা প্রভৃতি লাগালে সারা দিন বসতবাড়ির আঙিনায় আলো পাওয়া যায়।


বসতবাড়িতে গাছ লাগানো নিয়ে বেশকিছু খনার বচন প্রচলিত রয়েছে। যেমন উঠান ভরা লাউ শসা, খনা বলে লক্ষ্মীর দশা। হাত বিশেক করি ফাঁক আম-কাঁঠাল পুঁতে রাখ। নারিকেল বারো হাত সুপারি আট, এর থেকে ঘন হলে তখনই কাট। পুবে হাঁস, পশ্চিমে বাঁশ, উত্তরে কলা, দক্ষিণে খোলা।


এছাড়া বিভিন্ন অফিস, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় শোভাবর্ধনকারী ও ছায়া প্রদানকারী গাছ, যেমন কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, পলাশ, সোনালু, জারুল, বকুল, নাগেশ্বর, বকফুল, নারকেল, পাম, দেবদারু, ঝাউ প্রভৃতি গাছ লাগানো যায়। তবে হাটবাজারেও ছায়া প্রদানকারী গাছ, যেমন বট-পাকুড়, কৃষ্ণচূড়া প্রভৃতি লাগানো ভালো। পতিত জমিতে যেকোনো গাছই লাগানো যায়। বাঁধ, মহাসড়ক বা রেললাইনের পাশে দেবদারু, সেগুন, মেহগনি, শিশু, ইপিলইপিল, বাবলা, কড়ই, অর্জুন, হরীতকী, নিম, নারকেল, সুপারি, খেজুর, তাল প্রভৃতি গাছ লাগানো উত্তম। নিচু জমিতে জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে এমন গাছ যেমন মান্দার, জারুল, হিজল, ছাতিম, বরুণ, অর্জুন, করচ, পিটালী, কদম, বাঁশ, বেঁত প্রভৃতি গাছ লাগাতে হবে। চর এলাকায় বাবলা, ঝাউ, কড়ই, জারুল, বাইন কাঁকড়া, গরান প্রভৃতি গাছ লাগানো যায়। পাহাড়ি এলাকায় গর্জন, গামারি, সেগুন, শিলকড়ই, চাপালিশ, তেলশুর, কাজুবাদাম, কমলালেবু প্রভৃতি গাছ লাগানো উত্তম।

গাছ লাগানোর জন্য সতেজ, সবল, রোগমুক্ত, সোজা, কম শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট চারা নির্বাচন করতে হবে। নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহের পর কয়েক দিন ছায়াযুক্ত স্থানে রেখে দিয়ে চারাকে হার্ডেনিং করে নিতে হবে। এতে চারা গাছ মরে যাওয়ার ঝুঁকি কমে। গাছভেদে নির্দিষ্ট দূরত্বে চারাগাছ রোপণ করতে হবে। গাছের চারা রোপণের আগে মাটি গর্ত করে জৈবসার দিয়ে মাটি প্রস্তুত করে নিতে হবে। চারার পলিথিন ব্যাগ অপসারণ করে আলতোভাবে গোড়ার মাটির চাকাসহ সোজা করে বসিয়ে দিতে হবে। তারপর চারার চারপাশে ফাঁকা জায়গায় প্রথমে ওপরের উর্বর মাটি এবং পরে নিচের মাটি দিয়ে ভালোভাবে পূরণ করে দিতে হবে। চারা লাগিয়ে শক্ত খুঁটি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। চারপাশে বাঁশের খাঁচা দিয়ে বেড়া দিতে হবে। চারার গোড়ায় প্রয়োজনে সেচ দিতে হবে। মাটির আর্দ্রতা রক্ষায় গোড়ার আগাছা পরিষ্কার করে খড়কুটো বা কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কোনো কারণে চারাগাছ মারা গেলে দ্রুত নতুন চারা ওই গর্তে রোপণ করতে হবে। সাধারণত বছরে দুবার বর্ষার আগে ও পরে গাছের গোড়ায় সুষম সার দিতে হয়। সার দেয়ার পর পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। এছাড়া গাছের মৃত ডালপালা ছাঁটাই করতে হবে। এছাড়া রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

কথায় আছে, যে দেশে নাই তরু, সেই দেশটা হয় মরু। একটি গাছ ৫০ বছরে যে উপাদান ও সেবা দিয়ে থাকে তার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। একটি গাছ এক বছরে ১০টি এসির সমপরিমাণ শীততাপ তৈরি করে, ৭৫০ গ্যালন বৃষ্টির পানি শোষণ করে, ৬০ পাউন্ড ক্ষতিকর গ্যাস বাতাস থেকে শুষে নেয়। একটি বড় গাছ দিনে ১০০ গ্যালন পানি বাতাসে ছেড়ে দেয়। এক হেক্টর সবুজ ভূমির উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ চলাকালে প্রতিদিন গড়ে ৯০০ কেজি কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং ৬৫০ কেজি অক্সিজেন দান করে। এছাড়া বৃক্ষরাজি ৮৯-৯০ ভাগ শব্দ শোষণ করে দূষণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। নিমগাছের শব্দ শোষণক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া বৃক্ষরাজি আবহাওয়ার তাপমাত্রা হ্রাস করে, বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ায় ও ভূমিক্ষয় রোধ করে। তাই পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। নগরীতে বাড়ির ছাদে পরিকল্পিতভাবে ছাদবাগান করা যায়। এছাড়া আপনার ঘরের ভেতরে শোভাবর্ধনকারী গাছ লাগাতে পারেন। টবে গাছ লাগিয়ে ঘরে রাখুন, জানবেন একটি জীবন্ত সাথী সর্বদা আপনাকে দেখছে। গাছের আরেক নাম জীবন। গাছ আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, ওষুধ, জ্বালানি, অর্থ সর্বোপরি জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন দেয়। একটি গাছ কাটার আগে একবার ভেবে দেখুন তো গাছটির কতটুকু যত্ন আপনি করেছেন বা এ রকম কয়টা গাছ আপনি লাগিয়েছেন। তাই একটি গাছ কাটার আগে অন্তত তিনটি গাছের চারা রোপণ করুন।

আবু নোমান ফারুক আহম্মেদ: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

 source: https://www.bonikbarta.com/editorial/0biIJs5YOCq45ub9

 

বৃক্ষ হইল পৃথিবীর নিঃশব্দ অভিভাবক


বিগত দুই দশকে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বনভূমির আয়তন ৬ লক্ষ একরেরও অধিক হ্রাস পাইয়াছে। উদ্ভিদ জন্মায় দুইটি পদ্ধতিতে-প্রাকৃতিকভাবে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে। তাহার মধ্যে অধিকাংশ বৃক্ষ জন্মায় প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায়, যেইখানে পাখিরা মুখ্য ভূমিকা পালন করে। পাখিরা ফল খাইয়া বীজ দূরদূরান্তে ছড়াইয়া দেয়, যাহা প্রাকৃতিক বৃক্ষবিস্তার নিশ্চিত করে; কিন্তু পাখির সংখ্যা হ্রাস পাইবার কারণে বীজ বিস্তারের হার কমিয়া গিয়াছে, ফলে নূতন বৃক্ষ জন্মাইবার হারও কম।

পত্রিকান্তরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গিয়াছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭১৫ প্রজাতির পাখি থাকিলেও, উহার মধ্যে ৫০ প্রজাতি ঝুঁকিতে রহিয়াছে। একদিকে নিরাপদ আবাসস্থলের অভাব, অন্যদিকে বিষাক্ত খাদ্য, জলাশয় সংকোচন এবং রাসায়নিক ব্যবহারে খাদ্যশৃঙ্খলে বিঘ্ন ঘটাইতেছে। ফলে পাখি মৃতপ্রায় অবস্থায় উপনীত হইতেছে। ইহার পাশাপাশি কৃষিজমিতে অতিমাত্রায় কীটনাশকের ব্যবহার ছোট মাছ ও পোকামাকড় ধ্বংস করিতেছে, যাহা আবার পাখির খাদ্য উৎস। খাদ্যের অভাব পাখির মৃত্যুর কারণ হইতেছে এবং পরিবেশে তাহাদের অবদান বিলীন হইয়া যাইতেছে। এই দৃষ্টিকোণ হইতে বৃক্ষ ও পাখির সম্পর্ক বিশ্লেষণ করিলে দেখা যায়-একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক বনজ জীববৈচিত্র্য টিকাইয়া থাকিবার জন্য পাখির উপস্থিতি অপরিহার্য। পাখি হ্রাস পাইলে তো প্রাকৃতিকভাবে বৃক্ষের সংখ্যারও হ্রাস ঘটে। বৃক্ষ হ্রাসের কারণে বিশ্বের নানা দেশ কী কী ধরনের সমস্যায় পড়িয়াছে, সেই অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। হাইতি, আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া প্রভৃতি দেশে নির্বিচারে বন উজাড়ের ফলে ভূমিক্ষয়, খরার প্রকোপ এবং কৃষি বিপর্যয় প্রকট হইয়াছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া, কোস্টারিকা ও রুয়ান্ডা সরকার পরিকল্পিত বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম চালাইয়া বনভূমি পুনরুদ্ধারে সাফল্য পাইয়াছে। বিশেষত দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৭০-এর দশকে 'গ্রিন বেল্ট' কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণ করিয়া ভূমিক্ষয় রোধ করে এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করিয়াছে।

বাংলাদেশেও বৃক্ষরোপণের সুদীর্ঘকালের ইতিহাস রহিয়াছে। প্রাচীনকাল হইতেই এই জনপদে গ্রামীণ মানুষ বট, অশ্বত্থ, আম, কাঁঠাল প্রভৃতি গাছ পারিবারিক প্রয়োজনে রোপণ করিয়া আসিত। ঔপনিবেশিক যুগে ব্রিটিশরা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সেগুন, গর্জন প্রভৃতি বৃক্ষ রোপণ করিয়া বনভূমিকে করায়ত্ত করে। পাকিস্তান আমলেও বন ব্যবস্থাপনায় কিছু উন্নয়ন হইলেও সেইভাবে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করা হয় নাই। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে ১৯৮০-এর দশকে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির সূচনা হয়, যাহা বৃক্ষরোপণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিয়াছে। সরকার জাতীয় বৃক্ষ রোপণ অভিযান, বৃক্ষমেলা এবং স্কুল-কলেজে সবুজায়নের কর্মসূচি গ্রহণ করে। তবে বাস্তবতায় অনেক পরিকল্পনাই টিকিয়া থাকে নাই অব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতার অভাব ও বনভূমি দখলের কারণে। পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫.৫৮ শতাংশ বনভূমি রহিয়াছে, যেখানে আন্তর্জাতিকভাবে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন বলিয়া বিবেচিত হয়। এই ঘাটতি পূরণ করিতে না পারিলে দেশে মরুকরণ, গ্রীষ্মকালীন তাপপ্রবাহ, জলাশয়ের সংকোচন এবং ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িতে থাকিবে। ইহার সহিত শহরাঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়িয়া যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্রতা এবং জনস্বাস্থ্যের অবনতি ঘটিতে থাকিবে। মনে রাখিতে হইবে, একটি পূর্ণবয়স্ক বৃক্ষ প্রতিদিন গড়পড়তায় ১০০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন তৈরি করে, যাহা দৈনিক ৮ থেকে ১০ জন মানুষের অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করিতে সক্ষম। এই হিসাবে, প্রতিটি গাছ কেবল ভূপ্রকৃতি বা জীববৈচিত্র্য রক্ষার উপাদান নহে, বরং মানুষ বাঁচাইবার অন্যতম মাধ্যম।

বিজ্ঞানের এই অপার বিকাশের এই যুগে আমরা যদি অধিক সচেতনতার পরিবর্তে আরো অসচেতন হই, তাহা হইলে তাহা পরিতাপের বিষয় বটে। ইহারই দৃষ্টান্ত হইল, নানা সময়ে বৃক্ষরোপণের বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও আমাদের প্রাকৃতিক বনভূমির আয়তন ৬ লক্ষ একরেরও অধিক হ্রাস পাইয়াছে। মনে রাখিতে হইবে, গাছ হইল পৃথিবীর নিঃশব্দ অভিভাবক। ইহারা কথা কহে না; কিন্তু প্রাণ দেয়। সেই নিঃশব্দ প্রাণদাতাদের অবহেলায় হারাইয়া ফেলিলে আমরা কেবল প্রকৃতিকে নহে, নিজেদের অস্তিত্বকেও বিপন্ন করিব।



সম্পাদকীয়, ইত্তেফাক

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫

Thursday, October 24, 2024

Gazipur Tree Festival

 
















100 Trees Gifted by Madan Mahan Paul

We are Thankful and Grateful to Madan Mahan Paul for Gifting us 100 Trees for Gazipur Tree Festival.

He is our Active Member Since June 2017

He gifted us 200 Trees in Total.