Pages

Sunday, April 30, 2017

কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ


কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাইলে কোন কাজই আটকে থাকেনা তার বড় একটা কারণ টিম ওয়ার্ক । বন্ধুদের ডাকে সাড়া দেয়না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আসলেই মুশকিল। পড়াশুনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে ঢুকে গেলে বন্ধুদের ডাকে সাড়া দেবার প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকলেও ব্যস্ততা কিংবা পারিপার্শ্বিক কারনে হয়ে উঠেনা অনেক সময়। আমরা তাই আপনাদের কাছেই একটা অনুরোধ করছি গাছ লাগানোর ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করতে। ধরুন আপনার ক্লাসে ৫০ জন বন্ধু,গড় বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর। ধরলাম ২০ বছর। প্রত্যেকে নিজের বয়সের সমান গাছ লাগালে ১০০০ গাছ লাগানো হয়ে যাবে যদি আপনার মূল্যবান সময় থেকে ৫/৬ ঘণ্টা ব্যয় করেন। আর খরচটা মোটামুটি মানের ২ টা বার্গার/ ৩ টা স্যান্ডউইচ থেকে কোনক্রমেই বেশী নয়।২০ টি গাছ লাগাতে খরচ পড়বে মাত্র ১৫০/১৬০ টাকা। গাছ লাগানো কিংবা বাচ্চাদের কে গাছ উপহার দেয়া যে কি পরিমান আনন্দের কাজ আপনি আমাদের গাছ লাগানোর উৎসবে একদিন আসলেই বুঝতে পারবেন, যতটুকু নিজের কল্পনা শক্তি দিয়ে ভাবছেন তার চেয়েও অনেক অনেক বেশী আনন্দের। 

Planting 10 trees on a city block has health benefits equivalent to boosting income by $10000 a year or if they were seven years younger , study says.


৫০জন হয়তো রাজি হবেনা (কারণ অনেকেই ভাববে ২০ টি গাছ লাগালে কি আর এমন হবে) কিন্তু আপনি যদি আপনার ক্লাসে প্রস্তাবটা তোলেন নিশ্চিত থাকেন কমপক্ষে ১০জন বন্ধুকে পাবেন যে তারা খুশি মনেই রাজি হবে গাছ লাগাতে। তবুও ২০০ গাছ লাগানো হয়ে যাবে।

আপনারা বন্ধুরা মিলে যতো গুলো গাছ লাগাবেন আমরা আরও কমপক্ষে ততগুলো গাছ লাগাবো আপনাদের সাথে আপনাদের পছন্দমত কোন জায়গায়, কিংবা কোন স্কুলের বাচ্চাদের দিবো আপনাদের পছন্দের কোন স্কুলেই। আপনাদের আর আমাদের মিলে গাছ হয়ে যাবে ৪০০ টি(যদি ১০জন বন্ধুর গাছ গণনা করি)। সেটা যদি ৫০জনই রাজি থাকেন হয়ে যাবে ২০০০ গাছ, ১০০ টি গাছই যথেষ্ট একটি জায়গার সৌন্দর্য বাড়াতে, পরিবেশগত উপকারিতা তার চেয়েও অনেক বেশী।




Tree for Mankind আপনাদের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করতে চাচ্ছে বাংলাদেশের যেকোন স্থানে। আপনারা আমাদের প্রস্তাবটা অন্তত আপনার ক্লাসের বন্ধুদের দিয়ে দেখুন, ফেসবুকে শেয়ার করে দেখুন অনেকেই আসবে গাছ লাগাতে। আবারো বলছি আপনারা বন্ধুরা মিলে যতো গুলো গাছ লাগাবেন আমরা কমপক্ষে ততগুলোই গাছ উপহার দিবো আপনাদের, কিংবা আপনারাও পারেন আমাদেরকে উপহার দিতে আপনাদের গাছ।



তাই আপনাদের কাছে আমাদের আবেদন আসুন সবাই মিলে গাছ লাগাই, নিজের জন্য না হউক, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটা পরিবেশ উপহার দিতে পারবো।

Saturday, April 29, 2017

১৩ই মে বগুড়ায় আমাদের পরবর্তী গাছ উৎসব

বগুড়া শহর করতোয়া নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত ।করতোয়া নদী উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বগুড়াকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে । বগুড়ার উত্তরে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলা পশ্চিমে নওগাঁ জেলা, দক্ষিনে সিরাজগঞ্জ জেলা এবং পুর্বে যমুনা নদী । বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়; মূলতঃ ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় বগুড়া হয়ে যেতে হয় বলে এমনটি বলা হয়। বগুড়া শহরের আয়তন ২৬.৮৬ বর্গকিলোমিটার, যা ২১ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

মহাস্থানগড়
 বগুড়া জেলার আয়তন (বর্গ কিমি) ২,৯১৯ যা ১২ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। বগুড়া দইয়ের জন্য খুব বিখ্যাত। বগুড়া শহরে থেকে ১১ কিঃমিঃ উত্তরে মহাস্থানগড় অবস্থিত, যা একসময় প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল এবং সেসময় পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের প্রধান মেজর জিয়াউর রহমান বগুড়ার জেলার গাবতলী উপজেলায় জন্মগ্রহন করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বগুড়া ৭ নং সেক্টরের অধীনে ছিল ।


প্রধান নদীসমূহঃ
  1. করতোয়া
  2. বাঙ্গালী
  3. যমুনা
  4. নাগর
বগুড়া শহরে রয়েছে "নওয়াব প্যালেস" যা ব্রিটিশ আমলে "নীলকুঠী" নামে পরিচিত ছিল ।

আপনিও আসুন আমাদের সাথে আপনার বয়সের সমান গাছ নিয়ে Tree For Mankind এর গাছ লাগানোর উৎসবে কিংবা আপনার গাছ আমাদের উপহার দিন, আমরা লাগাবো আপনার হয়ে ।

Thursday, April 27, 2017

এখন পর্যন্ত আমরা ৪৪০০ টি গাছ লাগিয়েছি

আপনাদের অবগতির জন্য আমরা জানাচ্ছি যে ধরিত্রী দিবসের অসমাপ্ত গাছ উৎসব আজ ২০০০ গাছ রোপণের মাধ্যমে শেষ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এখন পর্যন্ত আমরা ৪৪০০ টি গাছ লাগিয়েছি গত ২মাসে তিনটি জেলায়। ১৩ই মে বগুড়া যাচ্ছি ১০০০ গাছ নিয়ে যা আমাদের এই বছরের লক্ষমাত্রা(৫০০০) ছাড়িয়ে যাবে। আশা করছি এই বছরই আমরা কমপক্ষে ৮০০০ টি গাছ লাগাতে পারবো।


তাই আবারো বলছি
"আপনারা ও আসুন আপনাদের গাছ নিয়ে আমাদের সাথে, কিংবা আপনার আশে পাশেই গাছ লাগিয়ে আমাদের সাথে Tree For Mankind এর গাছ লাগানোর উৎসবে যোগ দিন, অথবা আপনার গাছ আমাদেরকে উপহার দিন, আমরা লাগিয়ে দিবো আপনার হয়ে বাংলাদেশের কোন এক প্রান্তে।"

গৌরীপুর গাছ উৎসব এর কিছু ছবি

বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত গৌরীপুর উপজেলায় গাছ লাগানোর উৎসব এর শুধু উদ্বোধন করে আসা মূল অংশ শুরু হবার কথা ছিল আবহাওয়া ভালো হবার পর।
আজ( ২৭শে এপ্রিল)সেই কাঙ্খিত দিন ।











Sunday, April 23, 2017

ঘুরে এলাম গৌরীপুর

বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত গৌরীপুর উপজেলায় ঘুরে এলাম তিনটি স্কুলে কিন্তু আমরা বাচ্চাদের গাছ দিতে পারিনি বৈরি আবহাওয়ার কারণে। গতকাল (২২শে এপ্রিল) মুষলধারে বৃষ্টি সত্ত্বেও আমরা নির্ধারিত সময়েই পৌঁছে গিয়েছিলাম  গৌরীপুর উপজেলার ফরেস্ট অফিসে, গাছ নেয়ার জন্য আমাদের পিক-আপ ও তৈরি ছিল। কিন্তু উপজেলা বন কর্মকর্তা আমাদের উপদেশ/পরামর্শ দিলেন গতকাল গাছ না লাগাতে কারন আগের দিন রাত থেকেই বৃষ্টি ছিল আর গতকাল সকাল থেকে তো সারাদেশেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিলো। উনি বললেন যে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে গাছের মাটি ভিজে যাওয়াতে পলিথিন ব্যাগ খোলার সময়ই হয়তো গাছের মাটি ঝরে পরবে , তার মানে গাছ টিকে থাকার সম্ভাবনা কমে যাবে। আমাদের উদ্দেশ্যই তাহলে বিফলে যেতো, তাই আমরা উনার পরামর্শে গাছ গুলো নিয়ে যাইনি। বলে রাখা ভালো আমরা শুধু গাছ বিতরণ করে খুশি থাকতে  চাইনা, আমরা চাই গাছ গুলো যেন বড় হয়, তাই গতকালের গাছ লাগানোর উৎসব এর শুধু উদ্বোধন করে এসেছি, উৎসবের মূল অংশ শুরু হবে আবহাওয়া ভালো হবার পর।







তবে একদম খালি হাতে স্কুলে যাইনি, তিনটি স্কুলের জন্য ৫টি করে অর্জুন গাছ নিয়ে গিয়েছি এবং আমরা নিজেরা উপস্থিত থেকেই গাছ গুলো স্কুলের সম্মানিত শিক্ষকদের মাধ্যমে স্কুলের ক্যাম্পাসে লাগিয়ে এসেছি। অন্যান্য বারের মতো এবারো স্কুলের স্যারদের আন্তরিক আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ







খুব সহসাই(রোদ উঠলেই) ২০০০ গাছ লাগানো হবে তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে।

Mymensingh Weather 24-29 April








গাছ লাগানোর পর আপনাদের বিস্তারিত আপডেট জানানো হবে আমাদের এই ব্লগে এবং আমাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে।




এই ২০০০ গাছ লাগানোর মাধ্যমে আমাদের মোট গাছ হবে ৪৪০০ টি।

 ১৩ই মে কুমিল্লা যাচ্ছি আরও ২০০০ গাছ নিয়ে।




আপনারা ও আসুন আপনাদের গাছ নিয়ে আমাদের সাথে, কিংবা আপনার আশে পাশেই গাছ লাগিয়ে আমাদের সাথে  Tree For Mankind এর গাছ লাগানোর উৎসবে যোগ দিন, অথবা আপনার গাছ আমাদেরকে উপহার দিন, আমরা লাগিয়ে দিবো আপনার হয়ে বাংলাদেশের কোন এক প্রান্তে।





Friday, April 21, 2017

আরেকটি সফল দিনের প্রত্যাশায়

দেখতে দেখতে এসে গেলো আমাদের কাঙ্খিত ২২শে এপ্রিল, বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। আগেই জানিয়ে ছিলাম আমরা ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর যাচ্ছি ২০০০ গাছ নিয়ে। গত ১লা এপ্রিল বাঞ্ছারামপুর এ ২১০০ গাছ লাগিয়েছি তারও আগে ৪ঠা মার্চ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের জন্মস্থানে আমাদের প্রথম যাত্রা শুরু করেছিলাম মাত্র ৩০০ গাছ লাগিয়ে। ইনশাল্লাহ আগামীতেও আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে এভাবেই গাছ লাগাবো এবং আমাদের মিশন ১লক্ষ গাছ লাগানোর পথে এগিয়ে যাবো। আমাদের সাথে আপনার প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ অবদান আমরা আশা করছি, আমাদের স্লোগান হচ্ছে "প্রত্যেকে যেন নিজের বয়সের সমান গাছ লাগাই"। ভেবে দেখুন কাজটা মোটেও কঠিন তো নয়ই বরং আনন্দদায়ক কারন বাচ্চারা যখন হাসি মুখে গাছ গুলো নেয় তখন আপনার মুখেও আপনা আপনি হাসি চলে আসবে। আর খরচ টাও কিন্তু খুব বেশী না (৮/৯ টাকা প্রতি গাছ) যদি আমাদের মতো সরকারী নার্সারি থেকে গাছ সংগ্রহ করেন। আপনার বয়স যদি ২৫ হয়ে থাকে মাত্র ২০০ টাকা দিয়েই আপনার নিজের বয়সের সমান গাছ লাগাতে পারছেন, আর এরপর থেকে তো মাত্র প্রতি বছর ৮/১০ টাকা খরচ হবে মাত্র ।
Join us to fulfill a Target for Mankind


ফেসবুকে আমাদের সদস্য সংখ্যা এখন ১০১ জন,আশা করছি এই সংখ্যাও একদিন ১০,০০০ ছাড়িয়ে যাবে।কারন আমাদের ১০১ জনের বন্ধুর সংখ্যাই কিন্তু গড়ে ১০০জনের বেশী। সবাই যদি নিজের বয়সের সমান গাছ লাগাই তাহলেই খুব সহজেই আমাদের লক্ষ পূরণ হয়ে যাবে ২০২৫ সালের আগেই।

আমাদের ২০১৭ সালের টার্গেট ছিল ৫০০০ টি গাছ কিন্তু আমরা আশা করছি কমপক্ষে ৮০০০ গাছ লাগাতে পারবো এই বছরেই। আগামী কালকেই আমাদের ৪৪০০ গাছ হয়ে যাবে , ১৩ই মে যাচ্ছি  কুমিল্লাতে কমপক্ষে ১০০০ গাছ নিয়ে ।এ বছরেই আমরা গাজীপুর,বগুড়া, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ এ যাবো গাছ লাগাতে।

আমাদের সাথে থাকুন, নিজেদের বয়সের সমান গাছ লাগান,আপনিও বলুন আপনি Tree For Mankind এর একজন সদস্য।


Thanks a lot for 100 Followers

We are happy to inform you that we are a family of 100 members at our Facebook Page,on 21st April 2017.



Mr. Shazadur Rahman Khan Tapu is 100th Follower

Congratulation for all from Tree for Mankind Team.

Please 
Support us
Join with us
Stay with us
Plant with us

কোথায় রোপণ করবেন কোন গাছ

একটি দেশের মোট ভূমির কমপক্ষে এক চতুর্থাংশ বনভূমি থাকা উচিত।  সে হিসেবে আমাদের দেশে রয়েছে তার অনেক কম, যা পরিবেশ, প্রতিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। তবে আশার বিষয় হলো, দিন দিন মানুষ বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সঠিক জায়গায় সঠিক গাছ রোপণ না করার কারণে বৃক্ষরোপণের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।
জুন, জুলাই ও আগস্ট মাস গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়।বন্যামুক্ত, আলোবাতাস চলাচল করতে পারে এবং সূর্যালোক পড়ে এমন জায়গায় চারা রোপণ করা উচিত। দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ, এঁটেল দো-আঁশ, উর্বর, নিষ্কাশনযোগ্য ও উঁচু স্থানে চারা রোপণ করা উত্তম। কোথায় কোন চারা রোপণ করা উচিত তা জেনে নেই।


বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে: যেমন- মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে ও আশেপাশে শোভাবর্ধনকারী এবং ছায়া দানকারী গাছ যেমন, দেবদারু, নারিকেল, সুপারি, তাল, খেজুর, নিম, পাম, ঝাউ, কৃষ্ণচূড়া, আম, কাঁঠাল, লিচু গাছ রোপণ করতে পারেন।

বসতবাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে: রোদ ও আলোর জন্য ছোট এবং কম ঝোপালো গাছ লাগাতে হবে। সুপারি, নারিকেল, নিম, দেবদারু, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু, জাম্বুরা, ডালিম, মেহেদী, গাছ লাগানো যেতে পারে।
দেবদারু

বসতবাড়ির পূর্ব-পশ্চিমে: মাঝারি উঁচু এবং মাঝারি ঝোপালো গাছ লাগাতে হবে। এতে সকাল-সন্ধ্যায় বাড়ির আঙ্গিনায় আলো থাকবে। বাউকুল, আপেলকুল, সফেদা, আম্রপালি, লিচু, খেজুর, ডালিম, কলা, আতা, বেল, পেয়ারাসহ বিভিন্ন গাছ।

বসতবাড়ির উত্তরে: বসতবাড়ির উত্তরপাশে বড় ও উঁচু গাছপালা থাকলে ঝড়-তুফান প্রতিরোধ হয়। এখানে আম, কাঁঠাল, জাম, কামরাঙ্গা, মেহগনি, শিশু, সেগুন, হরিতকি, আকাশমণি, বাঁশ, ইত্যাদি গাছ রোপণ করা যায়।
পতিত জমিতে: সব ধরনের গাছ যেমন- আম, কাঁঠাল, জাম, কামরাঙ্গা, মেহগনি, শিশু, সেগুন, হরিতকি, আকাশমণি, দেবদারু, নারিকেল, সুপারি, খেজুর, নিম, পাম, ঝাউ, কৃষ্ণচূড়া, বাঁশ ইত্যাদি।
বড় রাস্তার পাশে :
মহাসড়কের দু’পাশে রেইনট্রি, রাজকড়ই, শিলকড়ই, কালাকড়ই, শিশু, মেহগনি, অর্জুন, দেবদারু, ঝাউ, চিকরাশি, তেলসুর, বকুল, পলাশ, কৃষ্ণচুড়া, সোনালু, নিম, লোহাকাঠ ইত্যাদি রোপণ করা যাবে।
সাধারণ সড়ক :  শিশু, নিম, দেবদারু, চম্পা, ইপিল ইপিল, গ্লিরিসিডিয়া, তুন, জাম, জাম্বুরা, বাবলা, খয়ের, বকফুল, সিন্দুরী, অড়হর, বগামেডুলা, তাল, খেজুর ইত্যাদি।
শহরের রাস্তা : দেবদারু, মেহগনি, নিম, চম্পা, নাগেশ্বর, কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, সোনালু, বটলপাম, ঝাউ ইত্যাদি।

শহরের আইল্যান্ড :  উইপিং দেবদারু, বটলপাম, বটলব্রাশ, এরিকাপাম, কামিনি, চেরী, জারুল, নাগেশ্বর, সিন্দুরী, জবা, গন্ধরাজ, বাগানবিলাস, মোসেন্ডা, থুজা, অশোক, রাধাচূড়া ইত্যাদি।
রেল লাইন : তাল, খেজুর, বাবলা, খয়ের, বকফুল, সিন্দুরী, বেলা, রাজকড়ই রেল লাইনের দুই পাশে রোপণ করা যাবে। পানি জমে এমন জায়গায় জারুল, হিজল, কদম, জাম, মান্দার ইত্যাদি রোপণ করা উচিত।

নিচু জমিতে: জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে এমন গাছ রোপণ করা দরকার। পিটালি, বেত, মূর্তা, বাঁশ, মান্দার, জারুল, হিজল, কদম ইত্যাদি গাছ নিচু জমিতে রোপণ করা যেতে পারে।

পুকুর পাড়ে: মাটি ভাঙ্গে না এবং শোভাবর্ধন করে যেমন সুপারি, নারিকেল, নিম, দেবদারু, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু, ডালিম ইত্যাদি গাছ লাগানো যায়। পুকুরপাড়ে পাতা ঝরা বৃক্ষ যেমন কাঠবাদাম, শিমুল, মান্দার গাছ লাগানো যাবে না

নদীর ধারে: পানি সহিষ্ণু, শক্ত মজবুত ও বড় হয় এমন গাছ রোপণ করা উচিত। যেমন- শিমুল, ছাতিম, পিটালি, বেত, বাঁশ, মূর্তা, মান্দার, জারুল, হিজল, কদম ইত্যাদি।

বিলে লাগানোর গাছ: বিল এলাকা যেখানে বছরে দু-তিন মাস পানি জমে থাকে সেখানে হিজল, করচ, বিয়াস, পিটালী, জারুল, মান্দার, বরুণ, পলাশ, কদম, চালতা, পুতিজাম, ঢেপাজাম, রয়না বা পিতরাজ, অর্জুন ইত্যাদি গাছ লাগানো যায়।

source

Wednesday, April 19, 2017

ইউক্যালিপটাস




সুন্দর পৃথিবীকে পরিবেশবান্ধব বাসযোগ্য রাখতে গাছের কোনো বিকল্প নেই। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশের মোট ভূ-ভাগের প্রায় ২৫ ভাগ বনভূমি দরকার। গাছ মানুষের বন্ধু ও পরিবেশের অন্যতম প্রধান উপকরণ। কিন্তু সব গাছ মানুষের জন্য উপকারী কিংবা পরিবেশবান্ধব নয়। মানুষের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি করে  ইউক্যালিপটাস গাছ
ইউক্যালিপটাস গাছ তাড়াতাড়ি বড় হয়। চারার দাম কম ও সহজলভ্য। কাঠ বেশ শক্ত। সহজে ঘুণ ধরে না। ক্ষেত-খামারের আইলে, বসতবাড়ির আশপাশে, রাস্তার ধারে, জলাশয়ের পাশে লাগানো যায়। এ কাঠ দিয়ে খুঁটি তৈরি করা যায়। জানালা, দরজার চৌকাঠ ও ঘরের রোয়া, বাতা ও বিম তৈরির কাজে এ গাছ কাজে লাগে।
ক্ষেতের আইলে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগালে পানির অভাবে ওই ক্ষেতের ফসলের ফলন ব্যাপক হ্রাস পায়


এই গাছটির অনেক গুনাবলী রয়েছে এবং সঠিক জায়গায় ঠিক মত রোপন না করলে অবশ্যই এই গুনাবলী গুলিই ক্ষতির কারণ হতে পারে | গাছটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এই গাছটি প্রচুর পানি শোষণ করে | আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে - আমাদের দেশে বৃষ্টিপাত খুব বেশি হয় না এবং বেশিরভাগ নদী বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে দেয়ার জন্য আমাদের দেশটি আরো শুকনো হয়ে যাচ্ছে | এই রকম  শুকনো জমিতে ইউক্যালিপটাস গাছটি রোপন করার মানে নেই - এইটাই সবচেয়ে প্রধান কারণ | রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে ব্যাপকভাবে ছেয়ে গেছে ইউক্যালিপটাস গাছ। ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নীলফামারী ও সৈয়দপুর ইত্যাদি এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এর বিস্তার অনেক। দিনাজপুরেও ধানের আইলের পাশ দিয়ে মানুষ এই গাছ লাগাচ্ছে কারণ সরকার বলে ৫ বছরের গাছ বেশ ভালো দামে কিনে নিচ্ছে |  
আমাদের মত দেশে এই গাছের একমাত্র ভালো ব্যবহার হতে পারে সেইসব জলাবদ্ধ জায়গায় যেখানে বদ্ধ পানি পরিবেশ দুষিত করছে - কয়েক বছর এই গাছ সেখানে বাগানের মত লাগালেই সব পানি নিয়ে নিবে আর তারপর গাছগুলি কেটে ফেলে জায়গাটি 'রি-ক্লেইম' করা যায়| ইউক্যালিপটাস গাছ  আমাদের মত স্বল্প বৃষ্টির ও শুকনো দেশে উপকার থেকে অপকার বেশি করছে | আমাদের দেশে এই গাছ লাগানোর কারণ হচ্ছে সল্প সময় কাঠ বানানোর জন্য কিন্তু এই স্বল্প সময়ের লাভের জন্য দেশটিকে মরুভূমির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে | কিন্তু যেখানে আমাদের সরকার নিজেই এই গাছ লাগাতে মানুষকে উত্সাহিত করছে সেখানে আমাদের সরকারী বেতনভুক্ত বৃক্ষ ও পরিবেশ বিশারদরা কি করছেন সেটাই প্রশ্ন | যাই হোক - দেশের কোনো অঞ্চলে যদি মাত্রারিক্ত বৃষ্টি ও পানি বদ্ধতা থাকে - যেমন পার্বত্য চট্টগ্রাম - সেখানে এই গাছ লাগিয়ে দেশের কাগজশিল্পের কিছু উপকার হয়ত করা যায় - এছাড়া আর কোনো জায়গায় এই গাছ লাগানোর কারণ নেই|
আমাদের জলবায়ুর জন্য ইউক্যালিপটাস গাছ
  মোটেই উপযোগী নয় উপরন্তু মাটি থেকে অতিমাত্রায় পানি শোষন করে মারাত্নকভাবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী সম্প্রতি এ সম্পর্কে বলেন, "এত দিন বিদেশি দাতা সংস্থার পরামর্শে সামাজিক বনায়নের নামে এ ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। এই গাছগুলোর নিচে অন্য কোনো গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিও বসে না। আকাশমণি গাছের রেনু নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে গেলে অ্যাজমা হয়। এর কাঠ জ্বালানি হিসেবে বা আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায় না।" তিনি আরও বলেন; "দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নতুন চরগুলোর মধ্যে যেগুলো টিকবে, সেগুলোতে সামাজিক বনায়ন করা হবে। ধানি জমির দুই পাশে ধইঞ্চা গাছ লাগানো হবে। এতে জমির পুষ্টি ও উর্বরাশক্তি বাড়বে। এনজিওরা সামাজিক বনায়নের নামে দেশের প্রধান সড়কগুলোর দুপাশ দখল করে আছে সাধারণ মানুষ এই জমিগুলো ব্যবহার করতে পারছে না।" (তথ্য: প্রথম আলো)
 
ক্ষেতের আইলে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগালে পানির অভাবে ওই ক্ষেতের ফসলের ফলন ব্যাপক হ্রাস পায়। ইউক্যালিপটাস মাটি থেকে প্রচুর পানি গ্রহণ করে , পাকিস্তানে পাহাড়ি ঝরনার পাশে ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণের ফলে ৮০ শতাংশ ঝরনার পানি শুকিয়ে যায়। সেই এলাকায় বার্ষিক বৃষ্টিপাত পাঁচ বছরে ২ ইঞ্চি কমে যায়। পানির স্তর ৫-১০ ফুট নিচে চলে যায়। ভুট্টা ক্ষেতের পাশে এ গাছ রোপণের ফলে ইথিওপিয়ায় ভুট্টার ফলন হেক্টরপ্রতি ৪ দশমিক ৯ থেকে ১৩ দশমিক ৫ টন হ্রাস পায়।
সম্প্রতি আফ্রিকান দেশ কেনিয়ায় ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেনিয়ার পরিবেশমন্ত্রী জন মাইচোকি আজ থেকে কয়েক বছর আগে ইউক্যালিপটাস গাছ তার দেশ থেকে সমূলে উচ্ছেদের আদেশ দেন। 
ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। মানুষ যেভাবে সাময়িক লাভের আশায় দেশে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনির মতো ক্ষতিকর গাছ রোপণ করছে, তা অব্যাহত থাকলে একসময় দেশের পরিবেশ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হবে। পানির স্তর আরো নিচে চলে যাবে। মাটির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাবে। পানি ধারণক্ষমতা কমে যাবে। প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাবে। জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। বন্যপ্রাণী ও গাছপালার অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই এ পরিবেশবিনাশী বৃক্ষ রোপণ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।